শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারো উত্তপ্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য

আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য। সমস্যা জর্জরিত অঞ্চলটিতে নতুন করে শুরু হওয়া বিদ্রোহ দমনে অভিযান চালাচ্ছে সরকারি সেনারা। এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্যে ১৩ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র।

শুক্রবার মায়ানমার সেনা বাহিনীর এই মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদে রয়টার্স জানায়, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই শুরু করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির লড়াইয়ের কারণে প্রায় ৫ হাজার নাগরিক অঞ্চলটি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোয় এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল তুন তুন নিয়েই জানান, ৫ থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে অঞ্চলটিতে ৮টি সংঘর্ষ ও ৫টি স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী ১৩ জন বিদ্রোহীর মরদেহ ও তিনটি অস্ত্র জব্দ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সংঘর্ষে সামরিক বাহিনীর কয়েকজন সেনাও হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে নিহত সেনাদের সংখ্যা প্রকাশ করেননি মেজর জেনারেল।

এদিকে মিয়ানমারের বহিঃগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, সামরিক বাহিনীর উদ্ধার করা মরদেহগুলোর মধ্যে পাঁচটি আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের নয়। ৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে বিদ্রোহীরা চারটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালালে সহিংসতা নতুন করে শুরু হয়। বিদ্রোহীদের হামলায় ১৩ জন পুলিশ নিহত ও আরো নয়জন আহত হয় বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের বেসামরিক কর্তৃপক্ষ বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বলে এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন।

এদিকে আরাকান আর্মিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন বলে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের মতোই আরাকান আর্মিকেও দমন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সু চি। উল্লেখ্য, আরাকান আর্মি মূলত রাখাইনের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জাতিগোষ্ঠী থেকে সদস্য সংগ্রহ করে থাকে।

এর আগে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করার কথা জানায় মিয়ানমার। তবে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো এ অভিযানকে ‘জাতিগত দমন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। যদিও মিয়ানমার সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

-রয়টার্স

Spread the love