শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে জলাতংক আক্রান্ত : কুকুরের কামরে গবাদি পশুর মৃত্যু

ঠাকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় জলাতংক আক্রান্ত কুকুরের কামরে গবাদি পশুর মৃত্যুতে গড়গাও গ্রামের মানুষজন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, জলাতংক আক্রান্ত পাগলা কুকুর ২০-২৫ দিন পুবে হঠাৎ উপজেলার গড়গাও গ্রামে প্রবেশ করে এতে ওই গ্রামের বৈশাগুরামের বিশ হাজার টাকা মুল্যের একটি গাভী, গদারামের আঠার হাজার টাকা মুল্যের একটি গাভী, বিধানচন্দ্র রায়ের পাঁচ হাজার টাকার মূল্যের একটি ছাগল, নগেন্দ্রনাথের চার হাজার টাকার মূল্যের একটি ছাগল, সুশিল মেকারের ছয় হাজার টাকার মূল্যের একটি ছাগলক জলাতংক আত্রুন্ত কুকুরে কামরে মারা যায়।
গতকাল বুধবার আবার ওই গ্রামের খরেস চন্দ্র রায়ের একটি গাভী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য পীরগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে আশা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার বলে কিছুদিন পূর্বে পাগলা কুকুর কামড় দিয়েছিল ফলে জলাতংক হয়েছে কিছুই করার নাই। এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদকে কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান যে, কুকুর কামড় দেওয়ার পর তৎক্ষনাৎ আমাদের জানালে আমরা চিকিৎসার ব্যাবস্থা নিতাম, কিন্তু বিলম্ব হওয়ায় এখন কিছুই করার নেই। তবে তিনি পরামর্শ দেন যে আক্রান্ত গুরুটিকে জবাই করে মুখের লালাসহ মাটিতে পুতে দিতে হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খরেস চন্দ্র রায় জানান, পাগলা কুকুরের ভয়ে এলাকার মানুষ ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ও গরু-ছাগল মাঠে চরাতে ভয় পাচ্ছে। আমরা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। এ ব্যপারে স্থানিয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি  স্থানীয়দের যে কোন উপায়ে কুকুরগুলোকে মেরে ফেলার পরামর্শ দিয়েছি। উল্লেখ্য স্থানীয়রা উদ্দোগ্যে ৪০-৫০ জন যুবকের একটি দল কুকুর গুলোকে মারার চেষ্ঠা চালায় কিন্তু তার ব্যর্থ হয়। বর্তমানে স্থানীয়রা তীরন্দাজ (সাওতাল) বাহিনী দিয়ে কুকুরগুলোকে হত্যা করার পরিকল্পনা অব্যাহত রয়েছে।

Spread the love