শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের কোনো অংশ দখল করেনি চীন, হয়নি অনুপ্রবেশও : মোদি

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সীমান্তে দু’দেশের সেনা সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ভূত এই পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার দেশের প্রধান সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এক সর্বদলীয় বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি জানান, চীনের কাছে এক ইঞ্চিও জমি হারায়নি ভারত। এছাড়া ঘটেনি কোনো চীনা অনুপ্রবেশের ঘটনাও।

টেলিকন্ফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এ বৈঠকে মোদি বলেন, সীমান্তের নিরাপত্তায় যথেষ্ট সক্ষম দেশের সেনাবাহিনী। তাদের উপরেও দেশের পূ্র্ণ আস্থা রয়েছে দেশবাসীর। কোনো বাহ্যিক চাপের কাছে ভারত নতিস্বীকার করবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

ভারতের সুরক্ষায় যা যা করণীয়, তা করা হবে বলেই বৈঠকে জানান মোদি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করার জন্য সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।

চীনা সেনা ভারতীয় এলাকা দখল করেছে কিনা বা অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এ প্রশ্নের উত্তরে মোদি দাবি করেন, চীনা সেনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় অনুপ্রবেশ ঘটায়নি, কোনো পোস্টও দখল করেনি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু যারা ভারত মাতার দিকে চোখে তুলে তাকিয়েছিল, তাদেরকে তারা উচিত শিক্ষা দিয়েছেন।’

সেনাবাহিনীর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে মোদি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর উপরে দেশবাসীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি সেনাবাহিনীকেও আশ্বস্ত করতে চাই, গোটা দেশ তাদের সঙ্গে রয়েছে।’

মোদি বৈঠকে আরো দাবি করেছেন, ভারত কোনো দিন বাহ্যিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি। এবারও দেশের নিরাপত্তায় যা করণীয়, তা করা হবে।

তিনি জানান, উন্নত পরিকাঠামোর সাহায্যে দুর্গম এলাকাতেও সেনাদের হাতে জরুরি সরঞ্জাম সহজে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির উপরে নজরদারি চালানো এবং সেই অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে।

মোদি বলেন, ভারত শান্তি এবং বন্ধুত্বের পক্ষে। কিন্তু দেশেক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না। এ দিন ২০টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

বৈঠকে সব দলই চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

এই বৈঠকের প্রথম বক্তা ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। তিনি বলেন, এই বৈঠক আরো আগে ডাকার দরকার ছিল। বিশেষ করে লাদাখে চীনা অনুপ্রবেশ নিয়ে অবগত হওয়ার পর সরকারের উচিত ছিল বৈঠকটি ডাকা।

সোনিয়া বলেন, দেশের ভূখণ্ড রক্ষায় সরকারের সিদ্ধান্তের পাশেই পাথরের মতো থাকবে গোটা দেশ। এমনকি দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মদক্ষতার প্রতি কংগ্রেসের বিশ্বাস আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র : এনডিটিভি

Spread the love