শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শাহবাগে গণজাগরণর মঞ্চের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ

শাহবাগে গণজাগরণর মঞ্চে দুই গ্রুপ

পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশ করেছে। আজ

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে

জাতীয় জাদুঘরের সামনের দুই গেটে

আলাদা আলাদা সমাবেশ করেন ইমরান

এইচ সরকার ও কামাল পাশা চৌধুরী। তবে

পূর্ব ঘোষিত মূল সমাবেশে ডা ইমরান

বলেছেন, যারা বলেন গণজাগরণ মঞ্চের

দরকার নেই, আসলে তাদের দরকার

হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলাম।

গণজাগরণ মঞ্চ কারও প্রয়োজনে তৈরি

হয়নি। কারও প্রয়োজনে ঘরে ফিরেও যাবে

না।

এদিকে একই সময় জাদুঘরের উত্তর পাশের

গেটে সমাবেশ করে গণজাগরণ মঞ্চের

আরেকটি অংশ। সেখানে সমাবেশ করেন

কামাল পাশা চৌধুরীর সমর্থকেরা। তিনি

বলেন, পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায়

গতকাল আমাদের মূল কর্মসূচি পালন থেকে

বিরত থেকেছি। এ মিছিলের মাধ্যমে আমরা

অন্যান্য রাজাকারের ফাঁসি কার্যকরের দাবি

জানাচ্ছি। যত দিন পর্যন্ত দেশে একজনও

রাজাকার থাকবে, তত দিন আমরা লড়াই

চালিয়ে যাব।

জানা যাায়, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী

শিশিরের ওপর হামলা, কয়েকজন কর্মী ও

সংগঠকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার

এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির

দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে

তারা। বিকেল ৪টার দিকে শুরু হওয়া

মিছিলটি শাহবাগ থেকে চারুকলা হয়ে

আবারও শাহবাগে এসে শেষ হয়। মিছিল

শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন

কামাল পাশা চৌধুরী।

পক্ষান্তরে ইমরান এইচ সরকার সমর্থিত

গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ ৬ দফার

বাস্তবায়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে

দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে এ সমাবেশের

আয়োজন করে। সমাবেশে রাজনীতিকদের

উদ্দেশে ইমরান বলেন, আপনারা রাজনীতি

করেন, ক্ষমতায় যেতে হয়। কিন্তু আমরা

প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ছয় দফা আদায়

করবই। জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার

হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে

জামায়াত-শিবির নতুন করে কোনো তাণ্ডব

যাতে চালাতে না পারে, সে জন্য উপযুক্ত

ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান

জানান তিনি।

সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চকে বিতর্কিত

করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে ডা.

ইমরান বলেন, মঞ্চে নানাভাবে হামলা-

মামলা, আক্রমণ হচ্ছে। যারা ২০১৩ সালের

৮ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে শপথ

নিয়েছিলেন, এ রকম অনেকে এখন বলছেন,

গণজাগরণ মঞ্চের দরকার নেই। তিনি

বলেন, তাদের আসলে দরকার হেফাজতে

ইসলাম ও জামায়াতে ইসলাম।

 

 

Spread the love