বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৫ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

জিয়াকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির নিন্দা

M F Eজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার নিন্দা জানিয়েছে দলটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, যে যুক্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে জড়ানো হচ্ছে একই যুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জড়িত কি-না এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও দাবি করেন এবং এ বক্তব্যে নিন্দাও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭৫-এর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন ১৭ মে। জিয়াউর রহমান শহীদ হয়েছেন ৩০ মে। এ দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন আছে। শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে সংযোগ আছে বলে বিএনপি মনে করে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন আছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নতুন করে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। আগের ২ দফা ক্ষমতায় থাকাকালে তদন্ত M F Eকেন হয়নি এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখনো কিছু তদন্ত হয়েছিল। এখন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর এ ধরনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হইনি। কারণ স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তিনি এভাবে কথা বলতে তিনি দাবি করেন, খুন, গুম, অপহরণের ঘটনায় জনজীবন এখন দুঃসহ। বাংলাদেশ সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। মানুষের দৃষ্টি এখান থেকে ভিন্ন খাতে ফেরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী অসত্য ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছেন।
ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানকে চিফ অব আর্মি স্টাফ বানিয়েছিলেন খোন্দকার মোশতাক। তিনি বলেন, সে সময় সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল শফিউল্লাহ ও বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খোন্দকার। পরে শেখ হাসিনাই মনোনয়ন দিয়ে তাদের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী বানিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন শেখ মুজিবকে হত্যার পরে মোশতাক জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিবকে হত্যার সময় এ কে খন্দকার বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এ কে খন্দকারকেই মন্ত্রী বানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তা হলে কি আমরা বলতে পারি যে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে শেখ হাসিনা জড়িত? এটা কোনো যুক্তির কথা নয়।
বিএনপির নেতা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, কাচের ঘরে বসে অন্যের প্রতি ঢিল ছুড়বেন না। যতই মিথ্যাচার করুন লাভ হবে না। জিয়াউর রহমান নিজের কীর্তির জন্য জনগণের কাছে ভাস্বর হয়ে থাকবেন। বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস করা এবং জিয়াউর রহমানের পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চলছে বলে তিনি দাবি করেন।