
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর সদরের ঠাকুরাইন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি ককটেল ও ২ জিহাদী বইসহ ৭ জন শিবির নেতা ও ১ জামায়াত নেতাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ । এ সময় তাদের ব্যবহৃত ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করে।
আটকরা হলেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার নাগাইহাট গ্রামের শামসুর রহমান প্রধানের পুত্র মোসত্মাফিজুর রহমান (২৩), কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার গৌড়েরখামার গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র নুরম্নল হুদা (২৩), ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার হাটপাড়াগ্রামের জোবায়েদুল হকের পুত্র মোঃ নাসির উদ্দীন (২৫), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার মাঝপাড়ার আকবর আলীর পুত্র মোঃ আবুল কালাম (২০), দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার মুকন্দপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের পুত্র মোঃ ফজলে রাববী (২৫), বিরল উপজেলার বড়তিলাইন গ্রামের মনসুর আলীর পুত্র মোঃ একরামুল হক (২৫) এবং একই উপজেলার বালান্দর গ্রামের কাদের নেওয়াজের পুত্র মোঃ শামসুজ্জামান (২৮)।
এসময় ডিবি পুলিশ দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী কর্ণাই গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র মোঃ আবুল কাশেম (২৩)কে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার ঠাকুরাইন বাজারে গোপন বৈঠক করে ফেরার পথে তাদের আটক করে ।
ডিবি এসআই বজলুর রশিদ জানান, সদর উপজেলার সংকরপুর ইউনিয়নের ঠাকুরাই বাজারে নাশকতা পরিকল্পনার গোপন বৈঠক শেষে ফেরার পথে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সাইটব্যাগে রক্ষিত লাল স্কচটেপে মোড়ানো ৪টি ককটেল এবং ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন বিষয়ক কয়েকটি জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তাদের ব্যবহৃত ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছেন।
দিনাজপুর ডিবি ওসি মোঃ রেদওয়ানুল রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডিবি পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতকে সঙ্গে নিয়ে পুলহাট মালিগ্রাম লিংক রোডে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় ৭ জন ছাত্রশিবিরের এবং ১ জামায়াত নেতা আটক করা হয়। এর মধ্যে ৪ জন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১ জন করে ৩ জন দিনাজপুর সরকারী কলেজ, কেবিএম কলেজ ও সঙ্গীত ডিগ্রী কলেজের শিবির নেতা। তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করেলে আদালত বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করেন।