সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন

পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্দেশ দেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে না সেসব প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিন। আজ বুধবার সকালে পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে না এবং জাতীয় সঙ্গিত গাইবে না সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিন। তালা মেরে দিন ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এ দেশে তাদের থাকার অধিকার নেই।
মন্ত্রী বর্তমান সরকারে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, অল্প কিছু দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। আগামী সংসদে মুক্তিযোদ্ধাদের বীর উপাধী দেয়ার বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক এসব উপাধী কেবল মাত্র সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পেয়েছে। বর্তমান সরকার বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের উপাধী দেয়ার নিয়েছে। আমরা এরই মধ্যে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলাগুলোতে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দেয়ার জন্য চিঠি প্রেরণ করেছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেশের ‘ওয়ার হিরো’ মতো সম্মানের ব্যবস্থা করা হবে। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কবর এক মডেলের করে বাঁধাই করা হবে। যেসব মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বাইরে শহীদ হয়েছেন তাদের কবর দেশে স্থানান্তর করা হবে। বধ্যভূমি ও যুদ্ধের স্থানকে সংরক্ষণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিজিটাল পরিচয় পত্র দেয়া হবে এসব সিদ্ধান্তের কথা মন্ত্রী সবাইকে অবহিত করেন। এসময় তিনি সচ্ছতার সাথে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দেয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডকে নির্দেশ দেন। লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ধর্ম সম্পর্কে তার এই কটুক্তির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। তাকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে অব্যাহতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দেশে ফেরার সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনে সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ এ্যাড. নূরুল ইসলাম সুজন। অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স বিষয়ক পিডি মাহমুদ হাসান, পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ কবীর, পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মির্জা আবুল কালাম দুলাল, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলীসহ জেলা ও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love