
বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে ক্ষমাতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ এ তথ্য জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ ধরনের বক্তব্যকে কখনো সমর্থন করে না। এ বক্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিসভা থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি দিয়েছেন।
হানিফ বলেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করার কথা ছিল। তবে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেয়ার কারণে সে পুরস্কার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গ্রহণ করেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছেন।
গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, গত রবিবার নিউইয়র্কে স্থানীয় টাঙ্গাইল সমিতির এক অনুষ্ঠানে তিনি হজ, তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এ সময় তিনি সংবাদিকদের সাথেও অশোভন আচরন করেন। ওই ভিডিওতে লতিফ সিদ্দিকীকে বলতে দেখা যায়, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী।
লতিফ সিদ্দিকীর ওই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, হজে যে কতো ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয়। এই হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গেছেন। এদের কোনো কাজ নাই। কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু ডিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা বিদেশে দিয়ে আসছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় সরকারের কেউ নন।
একই অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে তার মতামত জানতে চাইলে লতিফ সিদ্দিকী সংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। জয় ভাই কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।