সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন না : শিক্ষামন্ত্রী

E mশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের টাকায় চলে। শিক্ষার্থীদের হতাশাগ্রস্ত করার অধিকার তাদের নেই। তাদের বলব, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও এইচএসসিতে ৮০ ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে, এটা কোনো পরীক্ষাই না। আমরা চাই তারা দায়িত্বশীল হবেন।
আজ রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাছাই প্রক্রিয়া (ঢাবির) ত্রুটিপূর্ণ ছিল, এজন্য (শিক্ষার্থীরা) ফেল করেছে। এটা আমাদের বিষয় নয়, এটা তারা (ঢাবি কর্তৃপক্ষ) দেখবে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলে এ অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতাসম্পন্ন মাত্র দুজন শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সর্বনাশ করার এ পদক্ষেপ তারা (ঢাবি কর্তৃপক্ষ) বিবেচনা করবেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পরিপূর্ণ না, এটা কোনো পরীক্ষাই না। এটা পাস ফেলের না, এটা বাছাই পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে এবার প্রথম বর্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে, যাদের ১২৫ জনই কলা অনুষদের অধীন ‘খ’ ইউনিট থেকে আসার কথা। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বাকিদের নেয়া হবে। এছাড়া ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য নতুন শর্ত আরোপ করায় ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষায় এ বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা সম্পন্ন মাত্র দুজন শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে ভর্তির যোগ্যতা শিথিল করার আভাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তা না করলে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করব, তবে এখনই এটা (আইন পরিবর্তন) করতে চাই না। ছেলে-মেয়েদের সর্বনাশ, হতাশাগ্রস্ত, নিরুৎসাহিত এবং বিদেশে তাদের অগ্রহণযোগ্য করার জন্য ওই ধরনের বাছাই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Spread the love