
জিন্নাত হোসেন : হাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অভিযোগে ছাত্র নেতাকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার এবং ভিসির পদত্যাগের দাবীতে ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা ৭ নভেম্বর শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অরুণ কান্তি রায় সিটন এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জেমি, প্রত্যুষ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম সুজন, কিশোর কুমার রায়, প্রচার সম্পাদক আতিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, গ্রস্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান হাবীব রিজভীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তারা শুক্রবারের দৈনিক পত্রিকার খবরের উদৃতি দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসন প্রথম আলোকে বলেছেন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাসের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা কমিটি দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে এবং তারা প্রথম আলোকে আরো বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ শিক্ষকেরা ঐদিন জিয়া হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে অত্যাধুনীক সার্ভার স্টেশন বসিয়ে একদল যুবককে কাজ করতে দেখেন। যদি প্রথম আলোর প্রকাশিত সংবাদ সত্য হয় তাহলে যারা সার্ভার স্টেশন বসিয়ে কাজ করছিল তাদের আটক না করে ছেড়ে দেওয়া হল কেন ? তাই আমরা মনে করছি প্রকৃত আপরাধীদের বাঁচাতেই হাবিপ্রবির ছাত্রদের বহিষ্কার করে মূল ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্ট করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে আটক পরীক্ষার্থী আবুল হোসেন সকলের সামনে জবানবন্দিতে বলেছেন আমাকে এই ক্যালকুলেটরটি আমার বন্ধুর বড় ভাই দিয়েছেন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পাশ করেছেন তার নাম মনির। তিনি ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে আমাকে এটি দিয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর সেই আটক শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ভিসি’র কার্যালয়ে ৫ ঘন্টা রেখে ভয় ও লোভের মাধ্যমে ছেলেটিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যদের নাম বলতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় আটককৃত পরীক্ষার্থী যেখানে বলেছেন হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসের কাউকে সে চিনে না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।