শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিপ পরার পাঁচটি বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা

নারীদের মধ্যে টিপ পরার একটি সাধারণ চল রয়েছে৷ ট্র্যাডিশনাল ড্রেসের সঙ্গে টিপ না পরলে যেন সাজ ঠিক সম্পূর্ণ হয় না৷ শুধু তাই নয়৷ শিশুদের কপালেও টিপ পরান মায়েরা। সেই টিপ কুনজরের হাত থেকে শিশুকে বাঁচায় কি-না, তা বিতর্কিত৷ তবে টিপের মাহাত্ম্য রয়েছে শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে৷ শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্যি যে, টিপের ওপরে আপনার মস্তিষ্ক চোখ এবং কানের অনেক উপকারিতা নির্ভর করে৷
জেনে নিন টিপ আপনার শরীরকে কী কী ক্ষেত্রে সুস্থ রাখতে পারে৷

১. আমাদের দু’টি ভ্রুয়ের মাঝখানে টিপ পরার প্রচলন রয়েছে৷ তার একটি প্রধান কারণ হলো মস্তিষ্কের এই জায়গাই সব গুরুত্বপূর্ণ নার্ভগুলোর সংযোগস্থল৷ এই জায়গাটি আবার সনাতন ধর্মীয় মতে ত্রিনেত্রের স্থান৷ তাই এই জায়গায় টিপ পরলে তা শান্ত ও জাগ্রত রাখতে সাহায্য করে৷ শুধু তাই নয়, এটি মেডিটেশনেও সহায়তা করে৷

২. মস্তিস্কের এই একটি পয়েন্টে আঙুলের চাপ মাথা ব্যাথা কমাতে পারে৷ শরীরের এই অংশে শিরা উপশিরাগুলো এক কেন্দ্রমুখী৷ ফলে এই জায়গাটিতে চাপ দিলে শিরা-উপশিরাগুলো শিথিল হয়৷ ব্যাথা কমে৷ তাই এই পয়েন্টে টিপ পরলে মাথার আরাম হয়।

৩. মানুষের মুখে যে সব শিরা উপশিরা ছড়ানো রয়েছে, তার কেন্দ্রস্থল হচ্ছে কপালের এই অংশটি৷ ফলে এই স্থানে অল্প চাপ পড়লে আমাদের নাক, মাথা, ও মুখের রক্তসঞ্চালন বাড়ায়৷ এর ফলে নাক বন্ধ থাকলে এই পয়েন্টে চাপ দিলে নাক খুলে যায়৷ সাইনাসের ব্যাথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়৷ মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ার ফলে মুখ উজ্জ্বল হয় এবং তা বহুদিন পর্যন্ত মুখে বলিরেখা ফুটতে দেয় না৷

৪. চোখের শিরার ফাইবার বহনকারী শিরাগুলোর কেন্দ্রস্থল আমাদের কপালে৷ চোখের চারপাশে যত পেশি রয়েছে, সেগুলো এই শিরার সঙ্গে যুক্ত৷ ফলে এই স্থানে চাপ বা মেস্যাজ করলে তা চোখের জন্য উপকারী৷ দূরের এবং কাছের জিনিসকে স্পষ্ট করে দেখতে চোখের যে পেশি ব্যবহৃত হয়, তাকে শক্তিশালী রাখতে পারে এই জায়গার মেস্যাজও৷

৫. ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে টিপ৷ মনকে শুধু শান্ত করা নয়, এই স্থানে টিপ পরতে যে চাপ বা মেস্যাজ পরে, তাতে মুখের শিরা-উপশিরা ও পেশি শিথিল হয়৷ ফলে এটি মানসিক চাপ কমাতে পারে আপনার৷ প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই স্থানে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ইনসোমনিয়া থেকে মুক্তি মিলতে পারে৷
সংবাদসূত্র : কে-২৪ নিউজ

Spread the love