শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে মসজিদের ইমামকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

দিনাজপুর থেকে সিদ্দিক হোসেন ॥

দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালীর মালী গ্রামে দীঘিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাদ্দাম হোসেনকে হাত-পা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হত্যার হুমকির পর থেকে রুমে তালা দিয়ে অন্যত্র রাত্রি যাপন শুরু করেছেন ইমাম সাহেব। জানা যায়, গত সপ্তাহের সোমবার বিকালে তিন সন্ত্রাসী ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা সাদ্দাম হোসেনকে হাত-পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যার হুমকি দেয়। ফলে ইমাম সাহেব নিরাপত্তার অভাবে গত ৮ দিন ধরে তার রুমে বসবাস করতে পারছেন না। অন্যত্র রাত্রি যাপন করছেন। ফলে মুসল্লিদের নামাজ আদায় সহ তারাবির নামাজ আদায়ে বিঘ্ন ঘটছে। সরেজমিনে শতাধিক ব্যক্তির অভিযোগে জানা যায়, ২০ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে মালিগ্রাম দীঘিপাড়ার মৃত মছির উদ্দীন এর ছেলে আবুল কালাম আজাদ ওরফে হেফাজতি আজাদুর, রহমত আলী মাস্টার ও আছির উদ্দীন বিনা কারণেই ইমাম সাদ্দামকে ওই মসজিদের ইমামতি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। ইমাম এর কারণ জানতে চান। এক পর্যায়ে উল্লিখিত তিন ব্যক্তিসহ ৭-৮ জন ইমামকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বের করে দিয়ে রুম তালাবদ্ধ করে দেয়। স্থানীয়রা আরও জানায়, ওই ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য এবং স্থানীয় বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় কেউ তাদের বিপক্ষে কথা বলা তো দূরের কথা, কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে ইমাম সাহেব নিজেই ২১ জুন ও মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে কোষাধ্যাক্ষ এমাজ উদ্দীন ২৫ জুন কোতয়ালী থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। দুটি অভিযোগেই উল্লিখিত তিন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগ আরও বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তিরা সহ তাদের সহযোগীরা ইমাম সাহেবকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে  এবং ওই মসজিদ কমিটির লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জোড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী সরকার ও সেক্রেটারী আনিসুর রহমান সরকার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তারা ইমামকে হত্যার হুমকির ঘটনা এবং পরবর্তী সময়ে রুমে তালা দেয়ার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তবে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজওয়ানুর রহিম জানান, অভিযোগ পেয়েই আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। পরবর্তী সময়ে ওই এলাকার মুসল্লীদৈর একটি প্রতিনিধিদল, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সবাই মেনে নেন যে, বিষয়টি তাদের ভূল বোঝাবুঝি। উভয়পক্ষ পরস্পরের সাথে কোলাকুলি করে এবং কোন ধরনের বিবাদে জড়াবেন না বলে জানায়। ওসি আরও জানান,বর্তমানে মসজিদে মুসল্লিরা শান্তিতে নামাজ আদায় করে। যদি কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Spread the love