শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ী শিবনগর ইউনিয়নে সস্নুইচ গেট \ ভাগ্য বদলে যাবে কয়েক হাজার কৃষকের

মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নে ২ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়েছে। এই সস্নুইচ গেট নির্মাণের ফলে ৬৬৩ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাবে এলাকার কৃষকেরা। ভাগ্য বদলে যাবে কয়েক হাজার কৃষকের।

দিনাজপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ক্ষুদ্র পানি সেচ প্রকল্পের আওতায় সরকার উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নে গোপালপুর এলাকায় ২ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করে। পাশাপাশি স্লুইচ গেট থেকে উত্তরদিকে প্রায় ১০ কি.মি. একটি খাল খনন করা হয়েছে। এই খাল খনন করার পর সারাবছর ওই খালে পানি ধরে রাখতে পারে সে জন্য স্লুইচ গেটটি নির্মাণ করা হয়।

চলতি বছরের গত ২১ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি এই স্লুইচ গেটির আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন। স্লুইচ গেটটি নির্মাণের পুরো তদারক করেন দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খলিলুর রহমান। দীর্ঘ ৪ মাস দিন রাত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তার জনবল নিয়োগ করে স্লুইচ গেটটি নির্মাণ করেন। বর্তমান স্লুইচ গেটটির ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। কাজ শেষে চালু হলে শিবনগর ইউনিয়ন শুধু নয়, তার আশপাশ এলাকার শত শত  একর জমিতে এই ক্যানেলের পানি ব্যবহার করে কৃষি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারবে।

ভবিষ্যতে এই ক্যানেলের ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি সরবরাহ করবে তিলাই খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড। ইতিমধ্যে ক্যানেলটি পুনঃখনন কাজ প্রক্রিয়াধীন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা। এই সমিতি পরিচালনার জন্য সদস্য রয়েছে প্রায় ৪২০ জন। প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ করা হলে ৬৬৩ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা সেচ সুবিধা পাবে।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইিডি) কার্যসহকারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা কাজটি শুরম্ন থেকে এ পর্যন্ত শেষ করেছি। সামান্য কাজ আছে। আশা করছি আগামি জুলাই মাসের  শেষের দিকে কাজটি সম্পূর্ণ হবে। এরপর স্লুইচ গেটটির আনুসাঙ্গিক কাজ ঠিকাদার করবে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খলিলুর রহমান নিজেই প্রকল্পটির কাজ তদারক করেছেন। যাতে কাজের কোন ক্রুটি না থাকে।

এ ব্যাপারে তিলাই খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সাধারণ সম্পাদক মো. মহিদুল ইসলাম  জানান, এই সমিতিটি আমি তদারক করছি। ভবিষ্যতে এই ক্যানেলে মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হবে। কৃষক ও মৎস্যজীবীরা লাভবান হবে।

দুধিপুকুর গ্রামের কৃষক হাসান আলী ও পূর্ব জাফরপুর গ্রামের কৃষক মাহমুদ আলী জানান, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়ন হল। এই স্লুইচ গেট নির্মাণ হওয়ায় বাঁধের পানি আমাদের কৃষি কাজে এবং মৎস্য চাষে ব্যবহার হবে। আমরা সেচ সুবিধা পাবো এবং মাছ চাষ করে দেশের মৎস্য ঘাটতি পূরণ হবে। পাশাপাশি কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কৃষকের সফলতা ফিরে আসবে।

 

 

 

Spread the love